নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে গিয়েই অনেকে বিপাকে পড়ে যায়। কারণ নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে গেলে দরকার হয় অনেক তথ্যের। যেমন – ব্যক্তির পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি, নিবন্ধনকারী ব্যক্তি এর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা টিকা কার্ডের ফটোকপি। এবং জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন পত্র ও আবেদন ফি সহ সশরীরে গিয়ে আবেদন করতে হয়। তবে সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা খুব সহজেই নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন এবং জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে এবং নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ইত্যাদি সহ জন্ম নিবন্ধন এর প্রাসঙ্গিক সকল বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব।
জন্ম নিবন্ধন হল একজন ব্যক্তির পরিচয়। যদি কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন না থাকে তাহলে সে অনেক অসুবিধায় পড়বে এবং অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। জন্ম নিবন্ধন হলো একজন ব্যক্তির জন্মের তথ্য সরকারিভাবে নথিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া। জন্ম নিবন্ধন হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি, যা একজন ব্যক্তির শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, চাকরি, ভ্রমণ এবং অন্যান্য সরকারি সুবিধা পেতে প্রয়োজন।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন কি কি প্রয়োজন
নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে যে কোন মোবাইলে অথবা যে কোন কম্পিউটারে গিয়ে আবেদন করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে। নিম্নে নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করার নিয়ম গুলো দেখুন:
বাংলাদেশে, নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন:
- জন্ম সনদ (যদি থাকে)
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- জন্মস্থানের স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্র
- আবেদনকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জন্ম নিবন্ধন ফি
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফি
বাংলাদেশে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফি নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফি নিম্নরূপ:
- শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন করলে ফি ২৫ টাকা।
- শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের পর থেকে ৫ বছরের মধ্যে আবেদন করলে ফি ৫০ টাকা।
- শিশুর জন্মের ৫ বছরের পর আবেদন করলে ফি ১০০ টাকা।
- জন্ম নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিসে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিসগুলি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অধীনস্থ।
জন্ম নিবন্ধন ফি জমা দেওয়ার সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
- শিশুর জন্ম সনদ।
- শিশুর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- শিশুর পিতা-মাতার বিবাহের সনদ।
- শিশুর পিতা-মাতার বাড়ির ঠিকানার প্রমাণপত্র।
- শিশুর জন্মের স্থানের প্রমাণপত্র।
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
জন্ম নিবন্ধন ফি জমা দেওয়ার পর জন্ম নিবন্ধন অফিস থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে সাধারণত ৩০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়।
জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্রটি অনলাইনে বা অফলাইনে জমা দিতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করতে হলে, bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে যেতে হবে। অফলাইনে আবেদন করতে হলে, জন্মস্থানের স্থানীয় সরকারের অফিসে যেতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা জেলা জন্ম নিবন্ধন অফিসে জমা দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন অফিসে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর, জন্ম নিবন্ধন অফিস আবেদনপত্রটি পরীক্ষা করে এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানের সময় আবেদনকারীকে নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ ফি হিসাবে ১০০ টাকা জমা দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া একজন ব্যক্তি সরকারি চাকরি, শিক্ষা, চিকিৎসা, ভ্রমণ ইত্যাদি সুবিধাগুলি পাওয়ার সুযোগ পায় না। তাই, আপনার সন্তানের জন্মের পর অবশ্যই তার জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিন।
বাংলাদেশে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
- শিশুর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- শিশুর জন্ম সনদ
- শিশুর জন্মের স্থানের থানা/উপজেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র
- শিশুর জন্মের স্থানের হাসপাতালের প্রত্যয়নপত্র
- শিশুর জন্মের স্থানের স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রত্যয়নপত্র
- আবেদনকারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- আবেদন ফি
আবেদনপত্রটি পূরণ করে সত্যায়িত করে নিম্নলিখিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে:
- জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিস
- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
- আপনার জেলার নাম
আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিলে জন্ম নিবন্ধন অফিস থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার উপায়
সম্মানিত পাঠক আপনি জন্ম নিবন্ধন করতে চাইলে আপনাকে কিছু নিয়ম-কানুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। তো জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে হলে কি কি লাগবে এবং কিভাবে করতে পারবেন তা নিচে একটি বাই স্টেপ আলোচনা করা হলো।
১। আপনি নিম্নলিখিত কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে চান?
- জন্মস্থান এবং স্থায়ী ঠিকানা এই দুটির মধ্য থেকে যেকোনো একটি সিলেক্ট করুন।
- আপনি যদি বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান, তবে এটি নির্বাচন করুন
২। এখন আপনার পরিচয় পত্র প্রদান করুন। যেমন:
- নিবন্ধনকারী ব্যক্তির নামের প্রথম অংশ বাংলায় এবং শেষ অংশ বাংলায় লিখুন।
- জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারী ব্যক্তির ইংরেজি নামের প্রথম অংশ এবং শেষ অংশ লিখুন।
- নিবন্ধনকারীর জন্ম তারিখ লিখুন
- এরপর নিবন্ধনকারী ব্যক্তি পিতা-মাতার কততম সন্তান এবং কোন লিঙ্গের অধিকারী তা প্রদান করুন।
- জন্মস্থানের ঠিকানা লিখুন। যেমন: দেশ, বিভাগ, ডাকঘর, গ্রাম, বাসা, সড়ক নম্বর প্রদান করুন।
৩। সর্বশেষ আপনি সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করার পরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এরপর মোবাইল নাম্বার দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পরে সেই নাম্বারে একটি এসএমএস পাঠাবে। অথবা আপনি সেখান থেকে আবেদনপত্র প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। আপনার আবেদনকৃত অনলাইন নিবন্ধন কপিটি আপনার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে যোগাযোগ করুন। আর এভাবেই অনলাইনে থেকে আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে বের করে নিতে পারেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্রের অবস্থা জানার উপায়
আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে থাকেন এবং জানতে চাচ্ছেন বর্তমান আপনার আবেদনকৃত জন্ম নিবন্ধন কি অবস্থায় আছে। তাহলে নিম্নের নিয়ম গুলো ফলো করলে আপনি বর্তমান আবেদন পত্র অবস্থা জানতে পারবেন।
১। প্রথমে আবেদন পত্রের ধরন এর পাশে আরটি ক্যাটাগরি দেখতে পারবেন। যেমন:
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন
- জন্ম তথ্য সংশোধনের আবেদন
- জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট পুনঃমর্দন এর আবেদন
- জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট বাতিল এর আবেদন
- মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন
- মৃত্যু তথ্য সংশোধনীর আবেদন
- মৃত্যু নিবন্ধন সার্টিফিকেট পুনর্মদনের আবেদন
- মৃত্যু নিবন্ধন সার্টিফিকেট বাতিলের আবেদন।
এই আট ক্যাটাগরি থেকে আপনি যেটা আবেদন করেছিলেন তার বর্তমান অবস্থা জানতে সেটির উপর ক্লিক করুন।
২। এপ্লিকেশন আইডির পাশে আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি নাম্বারটি প্রদান করুন।
৩। জন্ম তারিখ এর পাশে জন্ম তারিখ সঠিকভাবে নির্বাচন করুন।
সর্বশেষ আপনি দেখুন বাটনে ক্লিক করুন। এখানে আপনি আবেদনপত্রের বর্তমান অবস্থা দেখতে পারবেন। আপনি চাইলে বর্তমান আবেদনপত্র অবস্থা প্রিন্ট করে নিতে পারেন।
অনলাইনে জন্ম তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন
অনলাইনে জন্ম তথ্য সংশোধন ঝামেলা মনে করে থাকে সবাই। আজকে আমরা যেকোনো জন্ম তথ্য সংশোধন সহজে কিভাবে করতে পারবেন তা আলোচনা করব। আপনার পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে হলে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন এবং স্টেপ বাই স্টেপ নিয়মগুলো পরুন।
১। যদি আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর থাকে, তাহলে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করে তাদের নাম সংশোধন করে আসতে হবে।
২। এরপর যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন করার সময় আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে থাকেন, তবে তাদের নাম সংশোধন করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
আর যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন করার সময় আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না দিয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরের সাথে পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাপ করতে হবে।
৩। এবং পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাপ করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে, সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
৪। যদি আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে এবং আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর পূর্বে হয়, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় আপনার পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পিতা/মাতা মৃত হলেও তাদের মৃত্যুর কোন প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে না।
৫। যদি আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে এবং আপনার পিতা/মাতা মৃত হয় এবং আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর পরে হয়, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় আপনার পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পিতা/মাতার মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
৬। এরপর জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রদান করুন।
৭। জন্ম তারিখ প্রদান করুন।
উপরের নিয়ম গুলো ফলো করে আপনি সহজেই অনলাইনে জন্ম তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর জন্ম নিবন্ধন করতে কোন সমস্যা হলে বা না পারলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন প্রিন্ট
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন প্রিন্ট করতে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
- জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিসের ওয়েবসাইটে যান।
- “জন্ম নিবন্ধন” ট্যাবে ক্লিক করুন।
- “নতুন জন্ম নিবন্ধন” লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- আবেদনপত্রটি পূরণ করুন।
- আবেদনপত্রটিতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করুন।
- আবেদনপত্রটি জমা দিন।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরে, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিস আপনার আবেদনটি প্রক্রিয়া করবে। আপনার আবেদনটি প্রক্রিয়া শেষ হলে, আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পাবেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে কত সময় লাগে?
নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে সাধারণত ৩০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। তবে, জটিল ক্ষেত্রে কিছুদিন বেশি সময় লাগতে পারে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে গেলে কী করবেন?
নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে গেলে আপনি জন্ম নিবন্ধন অফিসে পুনঃপ্রদানের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদনপত্রটি পূরণ করে সত্যায়িত করে নিম্নলিখিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে:
1. জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিস
2. জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
3. আপনার জেলার নাম
আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিলে জন্ম নিবন্ধন অফিস থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃপ্রদান করা হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে চাইলে কী করবেন?
জন্ম নিবন্ধন সনদে যদি কোনও ভুল থাকে তাহলে আপনি জন্ম নিবন্ধন অফিসে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদনপত্রটি পূরণ করে সত্যায়িত করে নিম্নলিখিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে:
1. জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিস
2. জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
3. আপনার জেলার নাম
আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিলে জন্ম নিবন্ধন অফিস থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করা হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
1. জন্ম নিবন্ধন সনদ
2. সংশোধনের আবেদনপত্র
3. সংশোধনের প্রমাণপত্র
4. আবেদনকারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
5. আবেদন ফি
জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে কত সময় লাগে?
জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে সাধারণত ৩০ দিনের মধ্যে করা যায়। তবে, জটিল ক্ষেত্রে কিছুদিন বেশি সময় লাগতে পারে।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন হলো একটি সরকারি নথি যা একজন ব্যক্তির জন্মের তথ্য সংরক্ষণ করে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা একজন ব্যক্তির শিক্ষা, চাকরি, ভ্রমণ, চিকিৎসাসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়।
নতুন জন্ম নিবন্ধন থাকার সুবিধাগুলি
১। সরকারি চাকরি করতে গেলে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন।
২। শিক্ষা ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন।
৩। চিকিৎসা ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন।
৪। ভ্রমণ, ব্যাংকিং এবং বিমান ভ্রমণ এর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন।
৫। ভোটার তালিকাভুক্তি ও পাসপোর্ট ক্ষেত্রে নিবন্ধন প্রয়োজন।
৬। লাইসেন্স , জমি ক্রয়-বিক্রয়, বিবাহ এবং অন্যান্য সরকারি সুবিধার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন না থাকার অসুবিধাগুলি
১। সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে।
২। শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থাৎ স্কুলে ভর্তি হতে হলে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন।
৩। ভোটার তালিকাভুক্ত হতে পারবেন না
৪। পাসপোর্ট এবং লাইসেন্স পাওয়া যাবে না
৫। জমি ক্রয়-বিক্রয়, বিবাহ করতে এবং অন্যান্য সরকারি সুবিধা পাওয়া যাবে না।
নতুন জন্ম নিবন্ধন পেতে বিশেষ কথা
জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে হলে, আপনাকে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিসে যেতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিস সাধারণত সকাল ৯:০০ থেকে সন্ধ্যা ৫:০০ পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে অবশ্যই শুক্রবার এবং শনিবার অফিস বন্ধ থাকে। তাই এ বিষয় মাথায় রাখবেন।
সম্মানিত পাঠক আশা করি নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা নিয়ে সম্পুর্ন ধারনা পেয়েছেন। তারপরও আজকের নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা নিয়ে বা নতুন জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে নিন্মে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। তো সবার শুভ কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি লাগে? | জন্ম নিবন্ধন আবেদন ২০২৩ | Birth certificate Apply 2023
বন্ধুরা এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে যে কিভাবে আপনি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদনসহ সংশোধন করতে পারবেন এবং কি কি কাগজপত্র ও কত টাকা লাগবে। এই বিষয়টা জানতে ভিডিওটি না টেনে সম্পূর্ণ দেখুন।